প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১১:৫০
সৌদিআরব ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) দেশজুড়ে মসজিদ ও ঈদগাহে বিশাল জমায়েতের মধ্য দিয়ে ঈদের প্রধান নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নেন। রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মামসহ দেশের বড় বড় শহরে লাখ লাখ মানুষ ঈদের নামাজে উপস্থিত ছিলেন। নামাজ শেষে গরু, ছাগল, উট, ভেড়াসহ বিভিন্ন পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। হাজিরা ফজরের নামাজের পর মিনার দিকে রওনা হন, যেখানে জামারাতে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ এবং কোরবানির মাধ্যমে হজের গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি পালন করেন। এরপর মক্কায় তাওয়াফের মাধ্যমে হজ সম্পন্ন হয়। এই সব অনুষ্ঠান সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ব্যাপক ধর্মীয় গুরুত্ব পায়।
বাংলাদেশের মতো এখানে ঈদের আনন্দ-উৎসবের আবহ পুরোপুরি থাকে না, তবে সৌদি প্রবাসীরা পারস্পরিক কুশল বিনিময়, কোলাকুলি ও খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে একে অন্যের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা গরু ও ছাগল কোরবানি দিয়ে উৎসবটি পালন করেন।
ঈদের দিন রুম থেকে রুমে অতিথি আসা-যাওয়া চলে, যেখানে অতিথিরা একে অন্যের বাসায় যান এবং খাবার পান করেন। মোবাইলে দেশের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় চলতে থাকে। পরে বিকালে সৌদিআরবের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের মাধ্যমে তারা ছুটি উপভোগ করেন। এতে ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে যায়।
সৌদিআরবের এই উৎসব মূলত ধর্মীয় ও ঐতিহ্যগত রীতিনীতি মেনে পালিত হলেও প্রবাসীরা নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যও সংরক্ষণে মনোযোগ দেন। এতে করে দেশীয় আবহ বজায় থাকে এবং তারা দেশের মানুষ থেকে দূরে থাকলেও ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন না।
সৌদিআরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের এই ঈদ উদযাপনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি পারস্পরিক সখ্যতা এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিও ফুটে ওঠে। এতে প্রবাসীরা নতুন উদ্দীপনা নিয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে যান।