প্রকাশ: ৯ মে ২০২৫, ১২:১৭
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মুখ খুলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই দ্বন্দ্ব থামানো যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। তবে তিনি এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
ভ্যান্স বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তবে আমেরিকার কোনো কর্তৃত্ব নেই যে তারা দুই দেশকেই অস্ত্র সংবরণে বাধ্য করতে পারে। এই বিবৃতিতে তিনি বুঝিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে শান্তির বার্তা দেবে, কিন্তু সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করবে না।
তিনি ফক্স নিউজকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না এবং এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা প্রত্যাশিত নয়। তিনি আরও বলেন, আশা করি এটি কোনো বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নেবে না এবং ঈশ্বর না করুন, পরমাণু যুদ্ধেও গড়াবে না।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, যদি ভারত আগ্রাসী মনোভাব অব্যাহত রাখে, তাহলে পরিস্থিতি পরমাণু সংঘর্ষের দিকেও যেতে পারে। এর মধ্যেই ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তান কাশ্মীরে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে। যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবুও সীমান্তে গোলাগুলি এবং ড্রোন গুলি করে নামানোর কথা স্বীকার করেছে তারা।
এদিকে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও সীমান্তে টার্গেটেড অপারেশন শুরু করেছে। নয়াদিল্লির সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোরে আরব সাগর অভিমুখে পাকিস্তানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। এটি একটি সামরিক অভিযানের অংশ বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, পাকিস্তান প্রথমে উসকানি দিয়েছে এবং ভারত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে জবাব দিয়েছে। তার মতে, ভারত তার প্রতিক্রিয়া ‘নিয়ন্ত্রিত এবং নির্ভুল’ রেখেছে এবং তা শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে সীমাবদ্ধ ছিল।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ অবস্থান ঘোষণা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
এই পরিস্থিতিতে নজর এখন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার দিকে, যা এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে বিরোধ নিরসনে কতটা কার্যকর হয়, সেটাই দেখার বিষয়।