প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ২:৩৪
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় হঠাৎ করেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির ২৪টি বিমানবন্দর থেকে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তে চমকে উঠেছে দেশটির সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলও।
বুধবার সকালে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কতদিন থাকবে বা কখন থেকে আবার ফ্লাইট চালু হবে—তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। ফলে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও যাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উদ্বেগ।
যেসব বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে অবস্থিত। এর মধ্যে আছে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাটের বিমানবন্দর। এসব এলাকা সীমান্তের খুব কাছেই হওয়ায় সেগুলোর মাধ্যমে সামরিক তৎপরতা সহজতর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ মূলত সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচলের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। অনেকেই যাত্রার মাঝপথে আটকে পড়েছেন। বিশেষ করে যারা জরুরি চিকিৎসা, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে অথবা শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণ করছিলেন, তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে বহুগুণ।
এদিকে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দুই দেশের মধ্যে অতীতেও বহুবার এমন উত্তেজনা দেখা গেলেও বিমানবন্দর বন্ধের মতো কঠোর পদক্ষেপ তুলনামূলক কম দেখা যায়।
ভারতের এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনা সৃষ্টি করেছে। অনেকে একে সামরিক প্রস্তুতির ইঙ্গিত হিসেবেও দেখছেন। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও নিবিড়ভাবে নজর রাখছে বলে জানানো হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, কূটনৈতিকভাবে এই উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, এবং শিগগিরই স্বাভাবিক হবে বিমান চলাচল।