প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, ১৫:৪০
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সীমান্ত উত্তেজনা এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। বুধবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভারতের মিসাইল হামলার জবাবে তাদের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। এতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সরকারের চারটি সূত্র তাদের নিশ্চিত করেছে। এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানের পাল্টা হামলার খবরে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে। যদিও ভারত সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, সবকটি ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং পাকিস্তানের সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রচণ্ড গুলি বিনিময় চলছে এবং পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুলি করে নামানো যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল ফাইটার জেট, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০। এসব বিমান ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এবং এসবের ভূপাতন ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলার কথা ভারতের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হলেও, পালটা প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভারতের নিরবতা পর্যালোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই নিরবতা তাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত, না কি মাঠে বাস্তব ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে, সেটি নিয়েও চলছে জল্পনা।
কাশ্মির ও উত্তর ভারতের কিছু বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এলাকাগুলোর স্কুল-কলেজেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, যা সীমান্ত উত্তেজনার পরিণতি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, যদি কূটনৈতিক উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে সংঘাত আরও তীব্র হতে পারে এবং তা গোটা উপমহাদেশে প্রভাব ফেলবে।