প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৯
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে বসেন। বৈঠকটি ট্রাম্প ‘ইতিবাচক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন, তবে কোনো চুক্তি বা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এ সময় আসেনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, তারা বিভিন্ন বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন, তবে স্পষ্ট করেননি কোন বিষয়ে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি দীর্ঘস্থায়ী কোনো চুক্তি করতে হয়, তাহলে ইউক্রেনে হামলার মূল কারণগুলো সমাধান করতে হবে। এ বৈঠককে পুতিন শুধুমাত্র ইউক্রেন সমস্যার সমাধানের সূচনা হিসেবে নয়, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসায়িক ও বাস্তবসম্মত সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের একটি পদক্ষেপ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।
পুতিন আরও মন্তব্য করেন, যদি জো বাইডেন থাকতেন, তবে তিনি ইউক্রেনে হয়তো কোনো হামলা চালাতেন না। ট্রাম্পের অধীনে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি ভিন্ন রূপ নিতে পারত বলে তিনি বলেন।
বৈঠকের পরে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তারা অনেক বিষয়ে একমত হয়েছেন, তবে কিছু বড় বিষয়ে এ পর্যন্ত সমাধান হয়নি। তিনি জানান, বৈঠকের অগ্রগতি হয়েছে, তবে চূড়ান্ত চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি কার্যকর হবে না। ট্রাম্প জানান, ন্যাটো, সংশ্লিষ্ট পক্ষ এবং ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে পুতিন ট্রাম্পকে মস্কোতে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান।ট্রাম্প প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মনে হয় ভবিষ্যতে মস্কোতে তাদের বৈঠক হতে পারে।
উভয় নেতাই সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন গ্রহণ করেননি। সাংবাদিকরা অনেক প্রশ্ন করলেও দুজনই কোনো মন্তব্য করেননি। ফলে বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য সীমিত রয়ে গেছে।
এ বৈঠককে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক এবং ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানের একটি সম্ভাব্য সূচক হিসেবে দেখছেন। তবে কোনো চুক্তি না হওয়ায় পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈঠকটি ভবিষ্যতে আরও কার্যকর আলোচনা ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। একই সঙ্গে ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।