প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, ১০:২৩
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। আজাদ কাশ্মিরসহ পাকিস্তানের অন্তত নয়টি স্থানে মধ্যরাতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ৮ জন পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলাগুলোকে স্পষ্ট আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই হামলার মধ্যে দুটি মসজিদ ছিল অন্যতম লক্ষ্যবস্তু। কোটলির মসজিদ-ই-আব্বাসে হামলায় ১৬ বছরের এক কিশোরী এবং ১৮ বছরের এক যুবক নিহত হন। আহত হন এক নারী ও তার কন্যা। একইসঙ্গে মুরিদকেতেও একটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানান, ভারতের মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে আঘাত হানে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন। এসব হামলা শুধু মসজিদ নয়, হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মুরিদকেতে একটি আবাসিক ভবন আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান সামরিক কর্মকর্তারা।
শিয়ালকোটের কোটলি লোহারান গ্রামে পড়ে যাওয়া একটি গোলা বিস্ফোরিত হয়নি, অন্যটি জনবসতিহীন স্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে। যদিও এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শকরগড় এলাকায় ভারতীয় হামলায় একটি স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতীয় বাহিনীর এই আগ্রাসনের জেরে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। কাশ্মিরের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামে গোলাগুলির শব্দে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জেনারেল শরীফ জানান, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সদস্যদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নিয়ে যাওয়া হবে যেন তারা ভারতীয় আগ্রাসনের বাস্তবতা সরেজমিনে দেখতে পারেন। ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, হামলাগুলো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছে। তবে পাকিস্তান এসব দাবি নাকচ করে হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের নজির হিসেবে অভিহিত করেছে।