প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, ১৩:২
ভারতের অপারেশন সিন্ধুর প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তান তার ভূখণ্ডে আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা সূত্র। গত কয়েকদিন ধরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উভয় দেশ একে অপরকে একাধিক সামরিক পদক্ষেপের জন্য দায়ী করেছে। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এই হামলাকে ভারতের অপারেশন সিন্ধুর বিরুদ্ধে তাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখতে পাচ্ছে।
যদিও পাকিস্তান এখনও তার অপারেশনের নাম প্রকাশ করেনি, তবে পাকিস্তানের জনগণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি তুলেছে যে এই অভিযানের নাম 'অপারেশন সুহাগরাত' রাখা উচিত। এই নামটি পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে সমর্থন পেয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এবং সামরিক অবস্থার ওপর একটি ইঙ্গিত দেয়। যদিও এটি একটি প্রস্তাব, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে পাকিস্তান সরকারি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি পর্যালোচনা করছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। দুই দেশের সেনাবাহিনী বিভিন্ন সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে, যা শুধু সীমান্তের নিরাপত্তা নয়, বরং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্যও একটি বড় বিপদ হতে পারে।
এদিকে, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা এই হামলা প্রস্তুতির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং হামলার সময় কোনো প্রকারের উত্তেজনা এড়াতে সেনাবাহিনীর প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে এবং হামলা চালানোর সময় সঠিক লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করা হবে।
এটি নিশ্চিত করতে পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, তারা শুধুমাত্র ভারতীয় ভূখণ্ডের বিশেষ সামরিক স্থাপনাগুলোকেই লক্ষ্য করবে, যাতে কোনো বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি না হয়। তবে, বিশ্ববাসী এখন নজর রেখেছে এই পরিস্থিতির দিকে, কারণ এর ফলে দুই দেশের মধ্যে আরও বড় আকারের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই হামলার পরিণাম কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে, অনেকেই মনে করছেন যে এই পরিস্থিতি যদি আরও উত্তেজিত হয়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে পরিণতি আরও মারাত্মক হতে পারে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত যদি বাড়ে, তাহলে এর প্রভাব শুধু দক্ষিণ এশিয়ার উপরই নয়, বরং সারা পৃথিবীর উপর পড়তে পারে।