গত এক দশকের মধ্যে ইসরাইলে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনা ঘটেছে, যা দেশটির প্রাকৃতিক পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এ দাবানল এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ৫ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে, তবে আশঙ্কা ছিল আরও বড় ক্ষতির। দাবানলটি শুরু হয় ইসরাইলের এশতাওল বনে, যেখানে গরম, শুষ্ক আবহাওয়া এবং তীব্র বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এ আগুন মানুষের বসবাস এলাকায় পৌঁছায়নি, তবুও প্রাকৃতিক পরিবেশের অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরাইলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল যে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা ছিল খুবই কঠিন। যদিও শেষ পর্যন্ত বসতবাড়ি থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন তারা, তবে বনাঞ্চলের এক বিশাল অংশ পুড়ে গেছে। পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি, এই দাবানল জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি বড় সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে খরা ও অতিরিক্ত গরমের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের মুখপাত্র তাল ভোলভোভিচ জানিয়েছেন, দাবানলটি কতটুকু ভয়াবহ তা অনুমান করা খুবই কঠিন, তবে এটা ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক অগ্নিকাণ্ড ছিল। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল এবং কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে, ১২০টি অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকারী দল কাজ করছে দাবানল নিয়ন্ত্রণে, এবং শতাধিক ইউনিট এর সঙ্গে সহায়তা করছে।
দাবানলটি শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ক্ষতি নয়, বরং এটি দেশের জন্য ভবিষ্যতের সতর্ক সংকেত হিসেবে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাবে এমন দাবানল এখন অনেক ঘনঘন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরাইল সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেয়া হচ্ছে।
২০১০ সালে মাউন্ট কারমেল অঞ্চলের দাবানল যেমন ভয়াবহ ছিল, তেমনি এখনকার দাবানলও জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করছে। এটি আরো বড় বিপদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি সংকেত এবং এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, নাহলে আগামীতে আরও ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে।