নোয়াখালীর চর মটুয়া ডিগ্রি কলেজের সাধারণ সম্পাদক আহমদ উল্লাহ রিংকুর বিরুদ্ধে একটি বিতর্কিত ভয়েস রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক মিনিট ৫ সেকেন্ডের একটি রেকর্ডেড কলালাপে তাকে সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তির কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করতে শোনা যায়।
ভয়েস রেকর্ডটি বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে রিংকুর কণ্ঠস্বরের অনুরূপ এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায় যে, তিনি টাকা না দিলে ইউপি সদস্য চাচাকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেবে এবং সেনাবাহিনীর ডিউটির দোহাই দিয়ে হুমকিও দেন। রেকর্ডে মোটরসাইকেলের দাবির কথাও উঠে আসে।
প্রবাসী জুয়েল জানান, তিনি চর মটুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং ইউপি সদস্য সাদ্দামের ভাতিজা। সৌদিতে কর্মরত অবস্থায় দেশে থাকা চাচার রাজনৈতিক পরিচয়কে কেন্দ্র করে তাকে হুমকি ও চাঁদা দাবি করা হয়। এছাড়া দেশে ফিরলে তার ওপর হামলার হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
চর মটুয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি শাহীন স্বীকার করেন, ভয়েসটি রিংকুর বলেই তার ধারণা। রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তিনি রিংকুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন। প্রথমে রিংকু ফোন রিসিভ না করলেও পরে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনে তিনি ঘটনাটি এড়িয়ে যান। শাহীন জানান, বিষয়টি সত্যি হলে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এদিকে ছাত্রদলের জেলা সভাপতি রাসেল জানান, তিনি রিংকুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন কিন্তু ব্যর্থ হন। বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রদল সভাপতি শাহীনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং রেকর্ডেড কণ্ঠ রিংকুর কণ্ঠস্বরের সাথে মিলে যাওয়ার বিষয়েও শুনেছেন।
বিতর্কিত রেকর্ড নিয়ে রিংকুর সরাসরি কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও কলেজ ও জেলা পর্যায়ের ছাত্রদল নেতারা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রবাসীর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক পরিবেশে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে এবং ছাত্ররাজনীতির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, দলীয় পর্যায় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং প্রবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় কি না।