প্রকাশ: ৯ এপ্রিল ২০২৫, ০:২৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ববাণিজ্যে বড় ধরনের এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চীন বাদে যেসব দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলো আগামী ৯০ দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি। বুধবার (৯ এপ্রিল) ট্রুথ সোশ্যাল মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
তবে চীনের প্রতি কড়া অবস্থান বজায় রেখেছেন তিনি। চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার ভাষ্য, চীন দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববাজারে অসদাচরণ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘শোষণ’ করেছে।
নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প লেখেন, “বিশ্ববাজারের প্রতি চীন যে অসম্মান দেখিয়েছে, সেটির ভিত্তিতে আমি চীনের ওপর শুল্কের পরিমাণ ১২৫ শতাংশে উন্নীত করছি। যা এ মুহূর্ত থেকে কার্যকর হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একটা সময়ে, আশা করি দ্রুত চীন বুঝতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশকে ‘শোষণ’ করার সময় শেষ।”
বাংলাদেশের ওপরও সম্প্রতি পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহেই বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসান ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তবে চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশের জন্য কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছেন ট্রাম্প। তার ভাষ্যমতে, “৭৫টিরও বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। তারা বাণিজ্য, শুল্ক, মুদ্রা জালিয়াতি ইত্যাদি ইস্যুতে গঠনমূলক অবস্থান নিয়েছে।”
এই আলোচনার ফলস্বরূপ, ট্রাম্প তাদের ওপর আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। সেইসঙ্গে পারস্পরিক শুল্কের হার কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন তিনি।
সিদ্ধান্তটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। এ ধরনের অবস্থান বিশ্ববাণিজ্যে উত্তেজনার কিছুটা প্রশমন ঘটালেও, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।