https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

ইপিআই টিকাদানর কার্ড সংকট, হাতে লেখা স্লিপই ভরসা !

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২২, ২:৮

শেয়ার করুনঃ
ইপিআই টিকাদানর কার্ড সংকট, হাতে লেখা স্লিপই ভরসা !

শিশু ও কিশোরীদের টিকাগ্রহনসহ জন্মনিবন্ধনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইপিআই টিকাদান কার্ড (শিশু এবং কিশোরী/মহিলা)সংকটে বরিশালের টিকাপ্রদান কেন্দ্রগুলো।

ফলে ইপিআই টিকাদান কার্ড এর বদলে সাদা কাগজে স্লিপে লিখে দেয়া হচ্ছে পরবর্তী টিকাদানের তারিখ। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকদের মাঝে, সেইসাথে কার্ড না থাকায় সেবাগ্রহিতাদের বোঝাতেও হিমশিম খাচ্ছেন টিকাকেন্দ্রের দায়িত্বরতরা।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

বরিশাল সদর (জেনারেল) হাসপাতালের ইপিআই টিকাকেন্দ্রের দায়িত্বরতরা জানান, এ টিকা কেন্দ্রের বরিশাল নগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা শিশুদের টিকা দিতে নিয়ে আসেন। সেক্ষেত্রে মাসে ১৬০-১৭০ টি নতুন কার্ডের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় এর পরিমান দুইশতও ছাড়িয়ে যায়। তবে দেশে মহামারি করোনার সংক্রমন শুরু হওয়ার পর থেকে ইপিআই টিকাদান কার্ড (শিশু এবং কিশোরী/মহিলা)সংকট দেখা দেয়। সর্বোশেষ এ বছর জানুয়ারি মাসে কিছু টিকাকার্ড হাতে পেলেও তা ছিলো চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য।

এ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সরা জানান, টিকা কার্ড দিতে না পারায় প্রায় সময়ই অভিভাবকরা আমাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। অনেক সময় বাক-বিতান্ডা থেকে চরম আকার ধারণ করে।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

অপরদিকে এই কার্ড নিয়ে অভিভাবকদের সাথে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম)হাসপাতালের ইপিআই টিকাকেন্দ্রের দায়িত্বরতদের সাথেও বাক-বিতান্ডা হয় বলে জানাগেছে। তারা জানান, এ হাসপাতালে মাসে গড়ে ১ শতর মতো নতুন শিশুদের টিকাকার্ড প্রয়োজন হয়, সেইসাথে প্রয়োজন হয় কিশোরীদের টিকাকার্ডও। তবে সম্প্রতি এ কার্ড সরবরাহ করছে না সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ বছর যা দিয়েছিলো, তা কোনভাবে গত বছরের টিকা সম্পন্ন হওয়া শিশুদের দেয়া হয়েছে। নতুনদের টিকা দিয়ে সাদা স্লিপে তারিখ লিখে দেয়া হচ্ছে এবং অভিভাবকদের বলে দেয়া হচ্ছে কার্ড এলে তখন তাও দেয়া হবে। তবে কার্ড না পাওয়া পর্যন্ত সাদা স্লিপটি যেন না হারায় সে নির্দেশনাও দিয়ে দেয়া হচ্ছে।

তবে অভিভাবকরা বলছেন, জন্মনিবন্ধনের সনদের জন্য এ কার্ডটি থাকা বাধ্যতামূলক। আর কার্ডটি না পেয়ে জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে সবাইকে। এছাড়া ইউরোপসহ বিভিন্ন স্থানে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশু কার্ডটি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন অনেক অভিভাবক। তাই তারা  ইপিআই কেন্দ্র থেকে শিশুদের দেয়া টিকার কার্ড যত দ্রুতসম্ভব সংগ্রহ ও বিতরণের দাবি জানান।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

এ বিষয়ে  জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই সুপারেন্টেন্ডেন্ট এনায়েত হোসেন জানান, মহামারি করোনার সংক্রমনের পর থেকে প্রচুর কোভিড-১৯ এর টিকাকার্ড এসেছে। তবে সেইসময় থেকেই ইপিআই টিকাদান কার্ড (শিশু এবং কিশোরী/মহিলা)আসা কমে যায়। পরবর্তীতে এর  সংকট দেখা দেয়। মা্ঝে মধ্যে যাও আসছে তাও চাহিদার থেকে কম।

তিনি জানান, সর্বোশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বরিশাল জেলার ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোর জন্য শিশু এবং কিশোরী/মহিলা মিলিয়ে আড়াইলাখ  কার্ড চাওয়া হয়েছিলো। তবে এখন পর্যন্ত কোন কার্ড পাইনি। আর তিন মাস পর পর চাহিদাপত্র পাঠানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতরে, আশাকরছি দ্রুত কার্ডগুলো পেয়ে যাবো এবং মাঠ পর্যায়ে বিতরনের মধ্যদিয়ে চলমান সমস্যার সমাধান হবে।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

এদিকে টিকাকার্ডের এমন সংকট শুধু বরিশাল জেলাতেই নয়, গোটা বিভাগের ৬ জেলাতেই রয়েছে।

তবে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, কার্ডের চাহিদার বিষয়টি স্ব-স্ব জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় দেখভাল করে। তারপরও যাতে দ্রুত কার্ড সংগ্রহ করা যায় এবং এর চাহিদা স্বাভাবিক রাখা যায় সে বিষয়ে আমরা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগ নিবো।  আশাকরি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস শনাক্ত, সতর্কতার আহ্বান

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস শনাক্ত, সতর্কতার আহ্বান

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) তাদের গবেষণায় পাঁচজনের শরীরে এই ভাইরাস সনাক্ত করেছে। সোমবার (৩ মার্চ) আইসিডিডিআরবি তাদের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করে। আইসিডিডিআরবি জানায়, তারা ২০২৩ সালে সংগৃহীত নমুনাগুলোর পর্যালোচনা করে এ তথ্য পেয়েছে। গবেষণায় ব্যবহৃত সমগ্র জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে,

সরাইল হাসপাতালে অবকাঠামো উন্নয়নে ধীরগতি! বিঘ্নিত চিকিৎসা সেবা

সরাইল হাসপাতালে অবকাঠামো উন্নয়নে ধীরগতি! বিঘ্নিত চিকিৎসা সেবা

সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিল্ডিং নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। ২০২২ সালের শুরুতে ৩ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ অসম্পূর্ণ রেখে পালিয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রকল্পটি দীর্ঘ দিন ধরে স্থগিত রয়েছে। এতে সরাইল উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হাসপাতালের বর্তমান বিল্ডিংটি অত্যন্ত ছোট এবং সংকীর্ণ

চক্ষু ইনস্টিটিউটে ১০৩ আহত, চিকিৎসা নিয়ে হতাশা

চক্ষু ইনস্টিটিউটে ১০৩ আহত, চিকিৎসা নিয়ে হতাশা

আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এখনো রয়েছেন ১০৩ জন চোখে গুলিবিদ্ধ আহত। তাদের অনেকেরই এক বা দুই চোখে গুলি লেগেছে, কেউ কেউ একাধিক অস্ত্রোপচারের পরও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি। আহতরা অভিযোগ করছেন, তারা আশানুরূপ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। স্বজনরা বলছেন, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা উপদেষ্টাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এখনো শহিদ পরিবারের অনেকে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আন্দোলনে অংশ

সুস্থ খাদ্যাভাসেই কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি

সুস্থ খাদ্যাভাসেই কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি

দেশে অনুমিত ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ, প্রতি বছর নতুন করে যুক্ত হয় আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ। বেশিরভাগই চিকিৎসার বাইরে থাকেন বা অপচিকিৎসার শিকার হন। মাত্র এক-চতুর্থাংশ রোগী সঠিক চিকিৎসার সুযোগ পান, তবে তাদেরও অনেকে দেরিতে আসেন, যখন সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণে অনেকের পক্ষেই এটি সম্ভব হয় না। এসব পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও ভাতা আজীবন প্রদানের পরিকল্পনা

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও ভাতা আজীবন প্রদানের পরিকল্পনা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন