দিল্লিতে সংবাদ ব্রিফিং: বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:১২ অপরাহ্ন
দিল্লিতে সংবাদ ব্রিফিং: বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে অনুষ্ঠিত ভারত মহাসাগর সম্মেলনের (আইওসি) পার্শ্ববৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক আলোচনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে এস. জয়শঙ্কর বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিকীকরণের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, "এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক না করে তোলে।"


ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাস্কাটে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ থেকে সার্ককে কার্যকর করার উদ্যোগের কথা বলা হয়। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন, "দক্ষিণ এশিয়ার সব রাষ্ট্রই জানে, কেন বা কোন দেশ সার্ককে বাধাগ্রস্ত করছে।"


এস. জয়শঙ্কর বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আরও বলেন যে, সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা প্রয়োজন। তাঁর বক্তব্যে উদ্বেগের বিষয় ছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিকীকরণ বা এটি সহনশীল হিসেবে গ্রহণ না করার গুরুত্ব।


বৈঠকটিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ (বিমসটেক) এবং গঙ্গা নদীর পানি চুক্তির নবায়ন সম্পর্কেও আলোচনা হয়। বাংলাদেশী পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে ভারতের কাছে সার্কের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা আয়োজনের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি এবং সার্কের কার্যক্রম সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।”


ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতার আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এস. জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স (সাবেক টুইটার) এ বৈঠকের বিষয়টি শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি বলেন, "বৈঠকে আমরা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।"


এছাড়া, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং সার্ককে শক্তিশালী করার গুরুত্বও উঠে আসে। এভাবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।