টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে সাখাওয়াত হোসেন, বাণিজ্য সচল রাখার পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির,নিজস্ব প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: শনিবার ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:০৩ অপরাহ্ন
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে সাখাওয়াত হোসেন, বাণিজ্য সচল রাখার পরিকল্পনা

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, কিভাবে টেকনাফ-ইয়াঙ্গুন পর্যন্ত বাণিজ্য সচল রাখা যায় সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে। একই সঙ্গে তিনি স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের শ্রমিকদের মজুরি কম দেওয়া এবং অন্যান্য অনিয়মের বিষয়েও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। 


গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কারণে ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে পণ্যবাহী কার্গো বোট আটকে যাওয়ার পর সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। ২৩ দিন ধরে ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্যবাহী বোট আসেনি। এই পরিস্থিতির সমাধানে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিনি সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজছেন। 


টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, বন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা নৌ-পরিবহন বা ল্যান্ডপোর্টের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন, বিশেষ করে শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে। ব্যবসায়ীরা জানান, ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে পণ্য প্রতি ৬৯২ টাকা আদায় করলেও শ্রমিকদের মাত্র ১০০ টাকা মজুরি দেয়। বাকি ৬০০ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, যার কারণে ব্যবসায়ীরা মালামাল খালাসের সময় চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। 


এদিকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর, সাদ্দাম হোসেন এবং ব্যবসায়ী মো. হাসেমসহ অনেকে এই বিষয়গুলো উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন। তারা বলেন, টেকনাফ বন্দরের বিল অন্যান্য বন্দরের তুলনায় অনেক বেশি, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা উপদেষ্টার কাছে দ্রুত সমাধানের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। 


উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার আরিফ উল্লাহ নিজামী, ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন, টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের মহাব্যবস্থাপক জসীম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। 


পরিদর্শন শেষে সাখাওয়াত হোসেন জানান, টেকনাফ বন্দরের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগের তদন্তও করা হবে, যাতে সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।