চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম মো. নাসির উদ্দীনের সঙ্গে। দলের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, আগামী রোববার ও সোমবার এই দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। সূত্র জানিয়েছে, রোববার দুপুর সাড়ে তিনটায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে এবং আসন্ন নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করবে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয় তুলে ধরা হবে।
শুক্রবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি মনে করছে, দেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত এবং সরকার যদি এসব নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় তবে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হতে পারে। বিএনপির দাবি, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা, গ্রেফতার ও হামলার মাধ্যমে দলটির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আগামীকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমেরিকা থেকে দেশে ফিরবেন। তার ফেরার পরপরই দলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে, দলের জ্যেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে বিএনপি সারাদেশে ক্রমাগত হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার যদি এসব সহিংসতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে।
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ না হলে সরকার নিজেই সংকটে পড়বে। তারা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে সরকারের উচিত বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া।
এই বৈঠকগুলোর মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচন কমিশন ও প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া পায়, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।