খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি প্রবেশের সময় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। ২১ জানুয়ারি বিকেলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সাজেকের উদয়পুর দিয়ে এক মাহিন্দ্র করে চিনি আনার সময় দীঘিনালা থানা পুলিশ ৪ বস্তা চিনিসহ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের মৃত খিরত বড়ুয়ার ছেলে কাজল বড়ুয়া, যার বয়স ৫৮ বছর, এবং মেরুং ইউনিয়নের রশিকনগর এলাকার মৃত মুনসুর আলীর ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন, যার বয়স ৪০ বছর। জানা গেছে, কাজল বড়ুয়া পেশায় অটো টেম্পো চালক এবং আনোয়ার তার সহযোগী।
সূত্র মতে, চিনিগুলো ভারতের মিজোরাম থেকে অবৈধ পথে সাজেকের উদয়পুর হয়ে দীঘিনালা প্রবেশ করানো হয়। এসময় পুলিশ তাদের আটক করে এবং ৪ বস্তা চিনি জব্দ করে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া বলেন, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চিনি প্রবেশ করানো হচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-খ/২৫-ঘ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য প্রবেশ স্থানীয় অর্থনীতি এবং বৈধ ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে এমন কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিতভাবে অবৈধ পণ্য প্রবেশের ঘটনা ঘটে। এসব নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের আরও কার্যকর তৎপরতা প্রয়োজন। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করার মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ভারতীয় পণ্যের অবৈধ প্রবেশ সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কার্যক্রম রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। চিনি ছাড়াও অন্যান্য পণ্য প্রবেশের ঘটনায় আগে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় জনগণকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।