ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলার ফলে গাজার মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৮ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জনে দাঁড়িয়েছে, বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় নতুন করে ২০৩ জন আহত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া বহু মানুষের জীবনের আশায় কাজ করছেন, কিন্তু সেগুলো পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ ও সুরক্ষা না পাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ধারণা, গাজা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ও ভবনগুলোর নিচে এখনও অন্তত ১০ হাজার মানুষ আটকে আছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা থামছে না। ইতোমধ্যে, হামলার ফলে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির এবং ধর্মীয় স্থাপনাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার অবস্থা আরও অবর্ণনীয় হয়ে উঠেছে, বিশেষত খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের কারণে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বর্তমানে বাস্তুচ্যুত এবং সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন। এছাড়া, গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, যা আরও অনেক দিন ধরে পুনর্নির্মাণের সম্ভাবনাকে অনিশ্চিত করে রেখেছে।
ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তবে দেশটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং হামলার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে, যেহেতু তাদের বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য ও পানীয়ের অভাব তীব্রতর হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।