বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার ও অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করে-মার্কিন প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার ও অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করে-মার্কিন প্রতিনিধি দল

বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছে। সফরটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক অধিকার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে সম্পর্কিত দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান করার ওপর গুরুত্ব দেয়। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক প্রেস নোটে জানায়, এই সফর বাংলাদেশের শ্রম অধিকার এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।


প্রেস নোটে বলা হয়, শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত হওয়া জরুরি।" যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রম সংস্কারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে এবং এটি বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য বলে অভিমত দিয়েছে।


বিশেষ করে, বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শ্রম সংস্কারের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র তার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, "শ্রমিকদের স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন গঠন এবং তাদের যৌথ দর-কষাকষির অধিকারকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশকে আরও উৎসাহিত করা হবে।" যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি কার্যকর শ্রম সংস্কারের প্রতি তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে, যাতে শ্রমিকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ এবং উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত হয়।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম. ফে রদ্রিগেজ এবং লেবার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি আন্ডারসেক্রেটারি থিয়া লি। সফরের অংশ হিসেবে, তাঁরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের (আরএমজি) সঙ্গে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। সফরকারী দলের মধ্যে ছিলেন ইউএসএআইডি-এর প্রতিনিধি, গ্যাপ ইনকর্পোরেটেড, পিভিএইচ কর্পোরেশন এবং ভিএফ করপোরেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও, যারা বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ১.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করে।


মার্কিন দূতাবাস এই সফরকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে তুলে ধরে বলেছে, "আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।"