ইউরোপের দেশ স্পেনে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল। বিশ্বে ইতালির পর যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ৬৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়েছে। স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আজকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৯ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
১৪ মার্চ থেকে স্পেন লকডাউন।জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃস্থানীয় এক কর্মকর্তা গতকাল বুধবার বলেন, দেশে মহামারি প্রকট আকার এখন ধারণ করেনি। আরও অসংখ্য মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাবেন এবং এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে ধারণা তার।এদিকে দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর ব্যপারে সায় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো শানচেজের নেতৃত্বাধীন স্পেনের মন্ত্রিসভা। আজ বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে এ নিয়ে ভোটাভুটি হবে।
এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ১৮৮ জনে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনএর।গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে ৬৫৫ জনের মৃত্যু হলেও আগের দিনের তুলনায় তা কম। কেননা গতকাল বুধবার দেশটিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান।চীনে উৎপত্তি হলেও ইউরোপ এখন করোনার ছোবলে বিপর্যস্ত
।সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ইতালি,স্পেন ও ফ্রান্সে।প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট তার পাশে থাকবে বলে আশাবাদী তিনি।এছাড়া জাতীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদও আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শানচেজ। এদিকে গতকাল দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী কারমেন ক্যালভো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পেদ্রো শানচেজের স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।