ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির দাম আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বুধবার (২ অক্টোবর) ঘোষণা করেছে যে, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়ে টানা চার মাস ধরে এলপিজির দাম বেড়ে চলেছে।
বিইআরসি জানায়, আজ সন্ধ্যা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১২১ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৭ টাকায় ৪৯ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, অটোগ্যাসের মূল্য প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী মাসে, গত ২ সেপ্টেম্বর, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা করা হয়েছিল। আগস্ট মাসে, জুলাইয়ের তুলনায় ১১ টাকা বাড়িয়ে দাম ১ হাজার ৩৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগের মাসে দাম বাড়ানোর সময় ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকায় দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, স্থানীয় সরবরাহের ঘাটতি এবং সাধারণ ভোক্তাদের উপর অর্থনৈতিক চাপের কারণে এলপিজির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ উচ্চ এলপিজির দাম তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ভোক্তারা এখন এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন এবং তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা হয়। খোদ সরকারী কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন কার্যকর করার মাধ্যমে বাজারে অস্থিতিশীলতার মোকাবেলা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে, এলপিজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে যে উদ্বেগ রয়েছে, সেটি দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।