করোনাভাইরাস মহামারির নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারত। শুক্রবার বিশ্বে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ। এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে এখন একটি নতুন ও বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় লাখ লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক আমেরিকা অঞ্চলের।
শুক্রবার জেনেভার সদর দফতর থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, ‘ভাইরাসটি এখনো দ্রুত তার বিস্তার ঘটিয়ে চলেছে, এটা এখনো প্রাণঘাতী এবং বেশিরভাগ মানুষ এখনো সংক্রমণ সংবেদনশীল অর্থাৎ অনেকের দেহেই ভাইরাসটির সংক্রমণের শঙ্কা রয়ে গেছে। আমেরিকা ছাড়াও সর্বোচ্চ সংক্রমণের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'ঘরে থাকতে থাকতে অনেক মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছেন হয়তো এ কারণেই অনেক দেশ তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যেতে চাইছে; কিন্তু ভাইরাসটি এখনো দ্রুত বিস্তার ছড়াচ্ছে।’সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে, অসুস্থ হলে ঘরে থাকতে, প্রয়োজন অনুসারে মাস্ক পরতে এবং বারবার হাত ধোওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, ‘অসুস্থ বোধ করলে ঘরে থাকুন। কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মাস্ক পরুন। হাত পরিষ্কার রাখুন। কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে যে, সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয়। রাজনীতিকে এক পাশে রেখে সত্যিকারের সহযোগিতার মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব। এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনও টিকা নেই। যদি কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়, তবে সেটিই হবে করোনা মোকাবিলায় প্রথম টিকা।’
শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫০১ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৭ জন। অপরদিকে ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৭ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।