তুরস্ক-সিরিয়ায় লাশের সংখ্যা বেড়ে ৪৩৭২

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
তুরস্ক-সিরিয়ায় লাশের সংখ্যা বেড়ে ৪৩৭২

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৭২ জনে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পের পর মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ২ হাজার ৩৭৯ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৯২১ জনে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পে অন্তত ৫ হাজার ৬০৬টি ভবন ধ্বংস হয়েছে।


তুর্কি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান ইউনুস সেজের বলেছেন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তুরস্কে নিহতের সংখ্যা অন্তত ২ হাজার ৯২১ জন। সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫১।দুই দেশে আহতের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি। সিরিয়ায় আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩১ জন বলে জানিয়েছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই বলেছেন, তুরস্কের ১০টি প্রদেশ ও শহরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি ও অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।দুই দেশেই শীতকালীন তুষারপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত অবস্থা পার করছে। সোমবার থেকেই আশ্রয়হীনরা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। অনেককে আগুন জ্বালিয়ে একসঙ্গে জড়ো হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরও অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। বিকেলে আবারও তুরস্কে ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।


আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। বহু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন দেশ দুটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে চীন; ইউরোপীয় ইউনিয়নের- বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও রোমানিয়া, ইতালি ও হাঙ্গেরি; জার্মানি; গ্রিস; স্পেন; ইতালি; রাশিয়া; ইউক্রেন; পোল্যান্ড; যুক্তরাজ্য; যুক্তরাষ্ট্র; ভারত; পাকিস্তান; ইরান; ইসরায়েল; কাতার; নরওয়েজিয়ান রিফুজি কাউন্সিল (এনআরসি); ন্যাটো; ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


আক্রান্ত দুটি দেশে আহত ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্যসেবা দিতে জরুরি মেডিকেল টিমকে সক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রোস গেব্রেসিয়াস।