চিপাদা সেলফি তুলতে গেলে টেনে নিয়ে গেলো কুমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২৯শে নভেম্বর ২০২১ ০৬:০২ অপরাহ্ন
চিপাদা সেলফি তুলতে গেলে টেনে নিয়ে গেলো কুমির

জীবন্ত কুমিরকে প্লাস্টিকের ভাস্কর্য ভেবে সেটির সঙ্গে সেলফি তুলে গিয়ে কুমিরের খাবারে পরিণত হতে যাচ্ছিলেন একজন দর্শনার্থী । বিনোদন পার্কগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ভাস্কর্য থাকে। আর পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সবাই কম-বেশি এসব ভাস্কর্যের সঙ্গে ছবি কিংবা সেলফি তুলে থাকেন। তেমনিভাবে ফিলিপাইনের একটি বিনোদন পার্কে একজন দর্শনার্থী একটি জীবন্ত কুমিরকে প্লাস্টিকের ভাস্কর্য ভেবে সেটির সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রায় হিংস্র প্রাণীটির পেটে চলে যাচ্ছিলেন। যদিও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় তিনি বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।


ঘটনাটি ঘটেছে ফিলিপাইনের  মিন্দানাও দ্বীপের কাগায়ান ডি ওরো শহরের অ্যামায়া ভিউ নামের একটি বিনোদন পার্কে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।


ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৮ বছর বয়সী নেহেমিয়াস চিপাদা তার জন্মদিন উদযাপন করতে ওই বিনোদন পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ ঘটনার কারণে তার দিনটি আরও বিষাদে পরিণত হয়। প্রায় ১২ ফুট লম্বা ওই কুমিরটিকে তিনি জীবন্ত মডেল মনে করে সেলফি তোলার জন্য তার ফোনটি বের করে সেটির একেবারে কাছে যেতেই কুমিরটি তার হাত কামড়ে ধরে পানির দিকে টেনে নিতে থাকে। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিনি কুমিরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হন। সে সময় পার্কে থাকা এক দর্শনার্থী তার মোবাইলের ক্যামেরায় ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। কুমিরটি তাকে পানির নিচে টেনে নিয়ে “ডেথ রোল” (যেভাবে সরীসৃপ তার শিকারকে হত্যা করে) দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সেসময় চিপাদা সাহায্যের জন্য চিৎকার করেন।



ভিডিওতে দেখা যায়, নেহেমিয়াস চিপাদাকে কুমিরের মুখ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিরাপদ দূরত্বে এসে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এ সময় তার বাম হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। পার্কের কর্মীরা রক্ত বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করেন।


পরে জানা যায়, চিপাদার বাহুতে কুমিরের ৮ সেন্টিমিটার একটি দাঁত আটকে রয়েছে। বর্তমানে তিনি উত্তর মিন্দানাও মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।


ভয়ঙ্কর এ ঘটনার পরে চিপাদার পরিবার পার্কের ওপর দোষ চাপিয়েছে। তাদের দাবি, পর্যটকদের জন্য পার্কে মারাত্মক প্রাণী সম্পর্কে কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেই।