তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করার প্রতিজ্ঞা করেছেন শি জিনপিং। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের গ্রেট হলে এক অনুষ্ঠানে চীনা প্রেসিডেন্ট কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে চীনের মানুষদের একটি ‘গৌরবময় ঐতিহ্য’ রয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৯১১ সালে চীনে শিনহাই বিল্পব হয়। দেশটি এখন সেই বিপ্লবের ১১০তম বার্ষিকী পালন করছে। সেই অনুষ্ঠানে শি বলেন, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াটা আমাদের মাতৃভূমির একীভূতকরণের ক্ষেত্রে বড় বাধা এবং জাতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সবচেয়ে গুরুতর লুকানো বিপদ।
১৯১১ সালে চীনে রাজতন্ত্রের সমপ্তি ঘটে। শি’র বরাত দিয়ে চীনের বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, আমাদের দেশের পূর্ণ একীভূতকরণ হবে এবং এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ একীভূতকরণ তাইওয়ানের মানুষজনের স্বার্থের জন্যই ভালো। আর চীন তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্য রক্ষা করবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনের জনগণের দৃঢ় সংকল্প, দৃঢ় ইচ্ছা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার সক্ষমতা নিয়ে কারও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। গত জুলাই মাসে তাইওয়ানকে কড়াভাবে সতর্ক করলেও এদিন সুর অনেকটাই নরম করেছেন শি জিনপিং।
জুলাই মাসে শি বলেছিলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতার যেকোনো আনুষ্ঠানিক চেষ্টা ‘ভূলুণ্ঠিত’ করা হবে। এর আগে ২০১৯ সালে শি তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণের আনতে শক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন। এদিকে শি’র শনিবারের মন্তব্যের জবাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, দ্বীপটি ভবিষ্যত তাইওয়ানিজদের হাতেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।