প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৫
পাকিস্তান সফলভাবে একটি অত্যাধুনিক রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘সুপারকো’ সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে এই স্যাটেলাইট নির্মাণ ও উৎক্ষেপণ করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।
এই উৎক্ষেপণ পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ অভিযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশের পর্যবেক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি, এটি জাতীয় মহাকাশ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
স্যাটেলাইটটির প্রয়োগের ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত। এটি নগর পরিকল্পনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে কার্যকরী হবে। একইসঙ্গে এটি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোকেও সহায়তা করবে।
এতে সংযুক্ত উন্নত সেন্সরের মাধ্যমে বন্যা, ভূমিকম্প, ভূমিধস এবং হিমবাহ গলে যাওয়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম বার্তা দেয়া সম্ভব হবে। এসব তথ্য দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ প্রস্তুতিতে বড় সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে সুপারকো।
স্যাটেলাইটে সংযুক্ত উন্নতমানের ইমেজিং সিস্টেম কৃষি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ভূস্থানিক মানচিত্র তৈরিতে এই প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল এ সাফল্যে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি জানান, স্যাটেলাইটটি সফলভাবে নির্ধারিত কক্ষপথে প্রবেশ করেছে এবং এটি দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির এক নতুন অধ্যায়।
মন্ত্রী আরও জানান, পাকিস্তান ২০২৬ সালের মধ্যে মহাকাশে একজন নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি ২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদে পৌঁছানোর কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান আবারও মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্বের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ জাতীয় সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি বড় ধাপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।