প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:৯
গাজার উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অব্যাহত গোলাবর্ষণে বুধবার ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং অন্তত ৩৯৯ জন আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়। আহতদের মধ্যে অনেকেই সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে চিকিৎসকেরা উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ অভিযানে মোট নিহতের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ১৩৮ জনে। আহতের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ৪৬ হাজার ২০০ জনের বেশি হয়েছে। এই মানবিক সংকটের পটভূমিতে গাজার অবস্থা দিনদিন আরও সংকটময় হয়ে উঠছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এসেছে। তারা উল্লেখ করে যে, চলমান সংঘর্ষের ফলে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে এবং শিশু-কিশোরসহ সাধারণ জনসাধারণ অযাচিত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
গাজায় সংঘটিত এই সহিংসতার কারণে আন্তর্জাতিক আদালত তথা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আইসিজে এই বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার মূল লক্ষ্য হামাসকে সম্পূর্ণরূপে দুর্বল করা এবং গাজায় আটক বন্দিদের মুক্ত করা। এই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান থামানো হবে না বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববাসীর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার, মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠন গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তৎপর। তারা সংঘর্ষের অবিলম্বে সমাধান এবং মানবিক সহায়তার প্রবাহ অব্যাহত রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করছে।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই দীর্ঘদিনের সংঘাত নতুন রূপ ধারণ করেছে। শান্তির জন্য কার্যকর ও স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণের অভাবেই এ ধরণের হিংসাত্মক ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এক দ্রুত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যাশা করছেন সবাই।
গাজায় চলমান এই সংকট অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষের জীবন বেঁচে থাকার লড়াই ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি শীঘ্রই শান্তিময় পর্যায়ে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করা হচ্ছে।