প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫, ২২:৩৩
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়েছে দুই আলিম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ২০ জুলাই ঘটলেও তা সামনে আসে কিছুদিন পর। ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ তদন্তে নামে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মইন বাবু (১৮) ও আব্দুল্লাহ আল জোবাইর (১৯)। দুজনেই ভূরুঙ্গামারী সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মইন সোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের ময়নুল হকের ছেলে এবং জোবাইর পাইকেরছড়া ইউনিয়নের আদর্শ মোড় এলাকার আব্দুল গফুরের সন্তান।
এজাহার অনুযায়ী, ১৭ জুলাই পরীক্ষা শেষে এক বান্ধবীসহ ছাত্রাবাসে ফেরার পথে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে কিশোর গ্যাং সদস্যরা তাদের গতিরোধ করে। গ্যাং সদস্যরা মেয়ে শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলার কথা বলে তাকে রেখে মইন ও জোবাইরকে চলে যেতে নির্দেশ দেয়। ছাত্ররা তাতে সম্মত না হলে গালিগালাজ, হুমকি ও ধমক দিতে থাকে তারা।
এরপর ২০ জুলাই আইসিটি পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ হলরুমের পেছনে পরিকল্পিতভাবে দুই শিক্ষার্থীকে ঘিরে ধরে কিশোর গ্যাং। তারা কিল-ঘুষি, লাথি ও নির্মমভাবে মারধর করে। এমনকি গলা টিপে হত্যার চেষ্টাও চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্যাতনের সময় শিক্ষার্থীদের দাড়ি টেনে ফেলা হয় এবং তাদের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এসময় তারা হামলার ঘটনা কাউকে জানালে পরবর্তীতে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে সালিশের উদ্যোগ নেওয়া হলেও অভিযুক্ত পক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। ফলে আহত শিক্ষার্থীদের পরিবার ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন নাঈম হোসেন, আনাস উদ্দিন, ফাহিম, নাহিদ মিয়া, বিরাজ, রুমান মিয়া, তাসফিক ও প্রনব।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ জানান, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ ঘটনার পর এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন।