প্রেম প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় বানারীপাড়ায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ!

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠী গ্রামের আ. ছালামের ছেলে সালমান খান হৃদয় ও চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ নুসায়ের মিরন সরদারসহ পাঁচজনের। পাশাপাশি মামলায় আরও দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী তার আত্মীয় কাওসারের মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে শাখারিয়া গ্রামের চান্দু মোল্লার বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বখাটে হৃদয়, মিরন এবং তাদের সহযোগীরা ব্যাটারিচালিত অটো ও সিএনজি নিয়ে মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। এরপর জোরপূর্বক ছাত্রীটিকে টেনে-হিঁচড়ে সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

অপহরণকারীরা বাধা দিলে কাওসারকে মারধর করে এবং তার মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের কাছে ছাত্রীটির ফুফা মোস্তফা মোল্লা ও ফুফু রুনু বেগম বাধা দিলে তাদেরও মারধর করে অপহরণকারীরা।

ছাত্রীটির মা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সালমান খান হৃদয় তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ইভটিজিং করছিল। এ নিয়ে প্রায় ৭-৮ মাস আগে বরিশাল আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়, যার প্রেক্ষিতে হৃদয় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পায়। কিন্তু এরপরও মেয়েটিকে বিরক্ত করা বন্ধ হয়নি। গত বছর ছাত্রীর নানা জাহাঙ্গীর মিয়া হৃদয়ের পরিবারের কাছে বিচার দিলেও উল্টো তার ওপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় হৃদয় ও তার বাবা।

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা জানান, “মামলা গ্রহণ করা হয়েছে, ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”