আমরা 'মাছে ভাতে বাঙ্গালী' ভাত বেশি খাবো এটাই স্বাভাবিক। ভাত খাবো তবে খানিকটা কম খাবো ভাত খেকো মানুষ হিসেবে আমাদের বেশ নাম ডাক রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভাত আর মাছ এই দুইয়ে মিলে এক সময় 'মাছে ভাতে বাঙালি'। ভাত খাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই কিন্তু বৈজ্ঞানিক মতে অতিরিক্ত ভাতের যোগান শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে। যা সম্পর্কে জানা না থাকলে অবশ্যই জেনে নিন। অতিরিক্ত ভাত খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। ভাত বেশি পরিমান খেলে শরীরে ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ধমনীতে রক্ত চলাচলে সমস্যা দেখা দেয় ওজন বেড়ে গেলে। হজম হবার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। খাবার ঠিক ভাবে হজম হয় না ফলে পাচনপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে না। ওজন বেড়ে গেলে খাবার শরীরের ভিতরে গিয়ে বিভাজিত হয় না ঠিকঠাক, সেই জন্য হজমের সমস্যা দেখা দেয়। ভাত শরীরের কার্বোহাইড্রেট মেটাবোলিজম কমিয়ে দেয় ফলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যদি নানান রোগের থেকে বাঁচতে চান তাহলে ভাত খাওয়া কমিয়ে দিন। কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তাররা দেখেছেন যে অনেক সময় শুধুমাত্র অতিরিক্তভাত খাওয়ার ফলে নানা রোগের আবির্ভাব হয়। এবং বৈজ্ঞানিকভাবেও একথা প্রমাণিত। এশিয়া মহাদেশের অধিকাংশ জায়গায় ভাত প্রধান খাবার। ৮৫% জায়গায় ভাত প্রধান খাবার হিসেবে মানুষ উপভোগ করে থাকে। ভাত খাওয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি, যে ভাত খেতে হলে একেবারে কম পরিমান খাওয়াই উচিত। কিছুদিন ভাত না খেয়ে থাকুন দেখবেন হজমের সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া সব কমে যাবে। শরীর ফিট থাকবে।
অতিরিক্ত ভাত শরীরের ভিটামিন, আয়রনের বৃদ্ধিতে বাধা তৈরি করে। আপনার ডায়েটে যদি অধিক মাত্রায় ভাত থাকে তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন বি হ্রাস পাবে। শরীর থেকে জিঙ্ক অপসারিত হতে থাকবে যা শরীরের জন্য ভালো না। যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমান ভাত খাওয়ার অভ্যেস থাকে তাহলে তা একেবারে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ভাত খাওয়ার পরিমান কমানো সম্ভব। মানবদেহের শক্তির মূল উৎস শর্করা, কার্বোহাইড্রেট, চিনি। কিন্তু অধিক মাত্রায় এগুলি শরীরে থাকলে শরীরে সমস্যা তৈরি হয়। কার্বোহাইড্রেট শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানের বেশি থাকলে শরীর নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাত অরিতিক্ত পরিমান খেলে দেহে শর্করা, চিনি, কার্বোহাইড্রেট বেড়ে যায় ফলে নানারকম রোগ চলে আসে শরীরে। ভাত বেশিমাত্রায় খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা ৯০% মানুষের মধ্যে দেখা দেয়। সার্ভে করে দেখা গিয়েছে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা ভাত খাওয়ার থেকে বেশি মাত্রায় হয়। অতিরিক্ত চিনি থাকে ভাতে যা থেকে গ্যাসের সমস্যা হয়। এই গ্যাস থেকে অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৯০%। যা গ্যাস্ট্রিক আলসারের মত সমস্যার তৈরি করে শরীরে। চিনি বেশি মাত্রায় শরীরে জমতে শুরু করলে ডায়বেটিস হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শরীরে থাকা বীটাকোষ ইন্সুলিন পর্যাপ্ত পরিমান তৈরি করতে অক্ষম হয়ে যায়। রক্তে চিনির পরিমান বেড়ে যেতে থাকে। ডায়বেটিস হলে মানবদেহ ধীরে ধীরে নানান রোগের মুখোমুখি হতে থাকে। ভাত আলস্যতা বাড়িয়ে দেয় শরীরে। ফলে পরিশ্রম করার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। যারা রুটি খান তারা বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে পারেন। কিন্তু ভাত খেলে শরীরে আলসেমি তৈরি হয়। কাজ করার উৎসাহ কমে যায়। বৈজ্ঞানিক মতে ভাত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু অধিক মাত্রায় ভাত খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো না।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।