বরিশালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে লাইসেন্সবিহীন ১ ক্লিনিক ও ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বানারীপাড়ার চাখার এবং গৌরনদীতে অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করা হয়। বরিশালের সিভিল সার্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (২৮ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বানারীপাড়া উপজেলার চাখারে পরিদর্শনে যান। সেসময় তিনি বরিশাল সদর হাসপাতালে কর্মরত ডা. রিতা রাণী শীলের পরিচালিত ফাইভ ডক্টর’স ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বনানী ডায়গনস্টিক সেন্টার ও চাখার ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে লাইসেন্স না থাকায় এগুলো বন্ধ করে দেন।
বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বলেন,৭২ ঘন্টার মধ্যে দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিদের্শনার আলোকে চাখারে নিবন্ধনহীন একটি ক্লিনিক ও তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপজেলার মোট ৪টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে সীলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একই অভিযানে এ সময় লাইসেন্স নবায়ন না করা ও প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ পূরন না করার দায়ে আরো ১২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কোনটিকে ৫দিন ও কোনটিকে ৭দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কাগজপত্র ঠিক করাসহ প্রয়োজনীয় শর্ত পূরন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত দিনের প্রথম ভাগের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময়ে মোট ১৬টি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্স না থাকায় ইয়াসিন প্যাথলজি, সান এক্সরে এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, আশা ডায়গনষ্টিক সেন্টার, বনানী ডায়গনষ্টিক সেন্টারকে সীলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অভিযানকালে লাইসেন্স আছে কিন্তু নবায়ন নেই। সার্বক্ষনিক ডিউটি ডাক্তার নেই, এ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক নেই। প্যাথলজিষ্ট নেই এমনি নানা অনিয়মের অভিযোগে ১২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকদেরকে সতর্ক করে ও গুলোর কোনটিকে ৫দিন ও কোনটিকে ৭দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কাগজপত্র ঠিক করে আনা ও শর্ত পূরন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনায় সার্বিক সহয়তা করে।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতে পাওয়ায় আজ শনিবার জেলার উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় মোট ৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।