সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অক্সিজেন সিলেন্ডার থাকলেও থাকে না অক্সিজেন। দীর্ঘ দিন ধরেই অকেজো হয়ে পরে রয়েছে কিন্তু দায়িত্বরতদের নেই কোনো দায়িত্ব। ফলে জরুরি প্রয়োজনে পাওয়া যায় অক্সিজেন না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এছাড়াও পাওয়া যায় না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা। এতে করে দুর দুরান্ত থেকে আগত অসহায় ও গরীব মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
এমন অবস্থার জন্য দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতায় এমন অবস্থা বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।
ভোক্তা জহিরুল ইসলাম জানান, আমি গত শনিবার রাতে ১০টায় উপজেলা প্রতন্ত সীমান এলাকা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন লাকমা গ্রামের এক আত্নীয় কে জরুরি বিত্তিত্বে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন জরুরি বিভাগের দায়িত্বশীল হাসপাতালে ভর্তি দেন। ওয়ার্ড নিয়ে গেলে অক্সিজেন দেয়া লাগবে জানায় ও কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনে আনার কথা বলে দায়িত্বরত সেবিকা ও বাদ্রার। অক্সিজেন আনতে গিয়ে তারা দু ঘন্টা সময় পার করেও অক্সিজেন সিলেন্ডার জাগার করতে পারেন নি। যে সিলিন্ডার আনা হয় সেটাই খালি না হয় নষ্ট। পরে রাত এক টার সময় রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এদিকে কোন পরিবহন না থাকায় আরো বিপদে পরি। পরে কোন রখমে সিএনজি যোগার করে সুনামগঞ্জ চলে আসি। শুরুতেই যদি আমাকে বলাহত অক্সিজেন নাই তাহলে আমার রোগীটার এত কষ্ট পেতে হত না।
হাসপাতালে ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা জানান, চিকিৎসা সেবা আর আধুনিক ও যোগপোযোগীরা করা প্রয়োজন।দায়িত্বরত সেবিকারা সেবা না দিয়ে তারা নিজেদের নিয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যস্থ থাকে। এক মাত্র চিকিৎসার আশ্রয় স্থলের অবস্থা খুবেই খারাপ।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, হাসপাতালে ২০টির অধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ আছে কোন সংকট নেই। যে সকল নার্স ভূল তথ্য দিয়েছিল তাদের সকোজ করা হয়েছে এবং বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে।হাসপাতালে আগত সকল ভূগীদের আমাদের পক্ষথেকে সবোচ্ছ সেবা দিয়ে আসছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।