করোনাঃ মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট দেশে বাজারজাতকরণ শুরু, প্রতি ডোজ ৩২০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - স্বাস্থ্য বিভাগ
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩০শে ডিসেম্বর ২০২১ ১০:১১ অপরাহ্ন
করোনাঃ মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট দেশে বাজারজাতকরণ শুরু, প্রতি ডোজ ৩২০০ টাকা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার টিকার পাশাপাশি আজ থেকে দেশে বাজারজাত শুরু হয়েছে করোনা আক্রান্তদের জন্য আমেরিকার তৈরি দুটি মুখে খাওয়ার ওষুধ নিরমাট্রেলভির ও রেটিনোভির। একটি ডোজের দাম হবে তিন হাজার দুইশত টাকা। পাঁচদিন খেতে হবে। মোট ৩০টি ট্যাবলেটের দাম হবে ১৬ হাজার টাকা। ওষুধের বাজারজাত করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড।


বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ হিজুলী ডায়াবেটিক হাসপাতালে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি। বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশের সংক্রমণ এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন দেশে লকডাউন দিচ্ছে। আমরা ৩১ কোটি ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, যার মধ্যে ক্রয়ও যুক্ত আছে। এরমধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে এসেছে। ৭ কোটি ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ ও ৫ কোটি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, আমরা জানুয়ারি মাস থেকে নতুন উদ্যোগে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু করছি। ভ্যাকসিন প্রতিটি ওয়ার্ডে দেওয়া হবে। আমাদের দেশে ১৫ হাজার ওয়ার্ডে ২৮ হাজার বুথে ২০২২ সাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যাতে আমরা ৪ কোটি ভ্যাকসিন দিতে পারব। আমাদের ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।


জাহিদ মালেক বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য আমেরিকার তৈরি ওষুধ আমাদের দেশে বাজারজাত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২ বছরে ঊর্ধ্বে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন। এটা আমাদের দেশের মাইলফলক করোনা চিকিৎসার জন্য। এই ট্যাবলেটের কার্যকর ৮৮ ভাগ বলে জানা গেছে। করোনার জন্য বিশ্বের যে দেশেই নতুন ওষুধ বের হয়, তা আমরা দ্রুত দেশে নিয়ে আসি মানুষের জন্য।


ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, পৌর মেয়র রমজান আলী, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব সাহা, ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি নীনা রহমান  প্রমুখ।


বার্ষিক সাধারণ সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ ও আজীবন সদস্যদের জন্য ২০ ভাগ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়।