বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা টিকা নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরাসহ তিন বিচারপতি। টিকা নেয়া অন্য দুই বিচারপতি হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও একই বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বিএসএমএমইউয়ে তারা টিকা নেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরাও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা টিকা গ্রহণ করবেন।এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি দেশের দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে বিএসএমএমইউয়ে টিকাদান শুরু হয়। সেদিন প্রথম টিকা নিয়েছিলেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ২৭ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে করোনা টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
৭ ফেব্রুয়ারি বিএসএমএমইউ ছাড়া রাজানীতে যেসব হাসপাতাল টিকাদানের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে :
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ : জননিরাপত্তা বিভাগ।
পিলখানা বিজিবি হাসপাতাল : সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ঢাকা, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, মিরপুর এবং পোস্তগোলা : প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : অর্থ বিভাগ, অর্থ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল: স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট : পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট : ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান : শিক্ষা ও ভূমি মন্ত্রণালয়।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল : পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়।
জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট, ঢাকা : বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় ইস্টিটিউট অফ বার্নস অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জাতীয় বাতজ্বর জনিত হৃদ রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র আগারগাঁও : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয় ক্লিনিক : আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টার : যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
আজিমপুর মা ও শিশু হাসপাতাল : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতাল, শ্যামলী : খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ঢাকা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল লালবাগ : নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
নাজিরা বাজার মাতৃ সদন : শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ মিরপুর : ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।