বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আকাশপথের যাত্রীদের প্রকৃত ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিতে বেশ কিছু নির্দেশনাসহ একটি পরিপত্র জারি করেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সিএ-২ অধিশাখা থেকে এই পরিপত্র জারি করা হয়, যাতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রুমানা ইয়াসমিন।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, অনিয়ম রোধে এখন থেকে যেকোনো গ্রুপ-টিকিট বুকিংয়ের সময় ভ্রমণেচ্ছু যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টের ফটোকপিসহ বুকিং সম্পন্ন করতে হবে। বুকিংয়ের তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর নামে টিকিট ইস্যু না হলে এয়ারলাইন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই টিকিট বাতিল করবে।
এছাড়া, ইতোমধ্যে ব্লককৃত গ্রুপ টিকিট সাত দিনের মধ্যে যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট নম্বরসহ বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, তিন দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টিকিট বাতিল হবে। বিক্রিত টিকিটের মূল্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে এবং তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সব ধরনের এয়ার টিকিট এখন থেকে অনলাইনে বিক্রি করতে হবে, এবং টিকিটের গায়ে নির্ধারিত মূল্য প্রদর্শন করতে হবে। এয়ারলাইন্স ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল বিধিমালা, ১৯৮৪-এর বিধি ২৮৯ অনুযায়ী নির্ধারিত ‘ট্যারিফ ফিলিং’ অনুসরণ করবে। অনুমোদিত ভাড়া ব্যতিরেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে।
এছাড়া, চাহিদার অতিরিক্ত টিকিট মজুদ করে দাম বাড়ানোর মতো অনিয়ম বন্ধে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২-এর বিধি-১৫ অনুযায়ী, মূল ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ স্থগিত বা বাতিল করা হবে।
বিদেশগামী কর্মীদের স্বার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের বিমান ভাড়া কমানোর জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ সব এয়ারলাইন্স ও বোর্ড অব এয়ারলাইন্স রিপ্রেজেন্টেটিভস (বিএআর) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।