ভারত-ভিয়েতনাম থেকে ৩৮ হাজার টন চাল আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বুধবার ১২ই মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
ভারত-ভিয়েতনাম থেকে ৩৮ হাজার টন চাল আমদানি

দেশের বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।  


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারিভাবে চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে। ইতোমধ্যে চাল বহনকারী দুটি জাহাজ এমভি টুং এন শিপ এবং এমভি রেক এলিট চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে।  


খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্দরে পৌঁছানো চালের গুণগত মান পরীক্ষা শেষে বুধবার থেকেই আনলোডিং কার্যক্রম শুরু হবে। এই চাল দ্রুত বিভিন্ন গুদামে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  


চাল আমদানির এ ধারা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আরও চাল আমদানি করা হতে পারে। সরকারি পর্যায়ে চাল সংগ্রহের পাশাপাশি আমদানির মাধ্যমেও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে।  


এর আগে, গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল দেশে আনা হয়। ধারাবাহিক আমদানি কার্যক্রমের মাধ্যমে চালের সংকট এড়ানো এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  


বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আমদানি করা চাল বাজারে এলে দামের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সরকার অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ঠিক রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আমদানি করা।  


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু আমদানির ওপর নির্ভর না করে দেশের চাল উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। কৃষি খাতে নীতি সহায়তা বৃদ্ধি ও কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় কমাতে হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।  


সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা রাখা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সমন্বয় করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।