অন্য যেকোনো বারের চেয়ে আলাদা এবারের ফিফা বিশ্বকাপ। টাকার অঙ্কের দিক দিয়ে এবারের আসর সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই; সেই সাথে এবারের রেফারি প্যানেলেও থাকবে ফুটবল বিশ্বের আলাদা নজর। কারণ, ইতিহাসে প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসরে পুরুষ ফুটবলের রেফারি হতে দেখা যাবে নারীদের। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে সাংবাদিক ক্রিস্টি ডাউয়েল এই উদ্যোগকে নারী রেফারিংয়ের জন্য এক ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
‘উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ শব্দটার যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যাবে এবারের বিশ্বকাপে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেরা ছয় নারী রেফারিকে ডাকা হয়েছে কাতার বিশ্বকাপে। ফিফা বিশ্বকাপের সহযোগী রেফারি ক্যাথরিন নেসবিট বলেন, আমরা এখানে একই দায়িত্বে সবাই ডাক পেয়েছি। এই অবস্থানের জন্য আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা এখানে সবাই একটি দল।
নারী রেফারিদের সহকর্মী হিসাবে পেয়ে উৎসাহিত আসরের বাকি রেফারিরাও। আয়োজকদের এমন সিদ্ধান্তকে তাই সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারাও। রেফারি ক্রিস বেথ বলেন, বিশ্বকাপ আয়োজকরা যথেষ্ট পেশাদার। আসরের জন্য যা ভালো সেই সিদ্ধান্তটাই তারা নিয়েছে। আমার মনে হয় এখানে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই।
তবে আয়োজকদের এমন উদ্যোগে বিস্মিত হননি ফিফা বিশ্বকাপের আরেক রেফারি ইসমাইল এলফাত। তিনি বলেন, আমি মোটেও অবাক হইনি। তারা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই এখানে এসেছে। আমি খুবই গর্বিত তাদের সহকর্মী হিসাবে পেয়ে। সারা বিশ্বের এটা জানা দরকার যে, আমরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এক হয়ে কাজ করে যাচ্ছি একটি ভালো আসরের জন্য।
খেলোয়াড়দের মতো বিশ্বকাপে ডাক পাওয়া রেফারিরাও নিজের প্রস্তুতিটা সেরে নিচ্ছেন ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র জন্য।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।