শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটায় মোবাইল কোর্টের শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: বুধবার ২২শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটায় মোবাইল কোর্টের শাস্তি

শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে এক ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল সদর, সিন্দুরখান এবং আশিদ্রোন ইউনিয়নে অভিযান পরিচালিত হয়। তালতলা এলাকায় ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দাসসহ শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ সদস্যরা।  


উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসলাম উদ্দিন জানান, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, বালু উত্তোলন এবং কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার মতো কার্যক্রম বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  


প্রসঙ্গত, ইনিউজ৭১-এ গতকাল "শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি, বিপর্যস্ত কৃষি ও পরিবেশ" শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদনটি প্রশাসনের নজরে আসার পর এ অভিযান পরিচালিত হয়।  


অভিযানের সময় বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাটি কাটার কারণে কৃষি জমি এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।  


উপজেলার অন্য এলাকাগুলোতেও এ ধরনের অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পরিবেশ রক্ষায় এই ধরনের উদ্যোগকে গুরুত্ব দিয়ে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন বলে মত দেন তারা।  


শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধ মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কার্যক্রম এলাকাবাসীর মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।  


উপজেলার কৃষি জমি রক্ষা এবং পরিবেশের সুরক্ষার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, জমি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনিক উদ্যোগ ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।  


স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাটি কাটার মতো অপরাধ বন্ধে স্থানীয় জনগণকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।