ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে স্প্যানিশ ভাষায় আর্জেন্টাইনরা ডাকত ‘এল পিবে ডি অরো’ নামে। যার অর্থ হচ্ছে ‘দ্য গোল্ডেন বয়’। এমন নাম দেওয়ার পেছনের কারণটা ফুটবলপ্রেমী সবারই হয়তো জানা। ১৯৮৬ সালে তিনি যে প্রায় একাই দেশটিকে এনে দিয়েছিলেন বিশ্ব ফুটবল মঞ্চের সর্বোচ্চ সম্মান।
৬০ বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানান, ফুটবল ঈশ্বর খ্যাত ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি ফুটবলার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফুটবলের ঈশ্বর, উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারানোর দুই বছর কেটে গেল। লম্বা সময় ধরে অসুস্থতায় ভোগা ম্যারাডোনা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর নিজ বাসায় মারা যান।
এ ম্যারাডোনার হাত ধরেই ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনাকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটি গোল করেন তার একটি হাত দিয়ে গোল করে ‘দ্য হ্যান্ড অব গড’ খ্যাতি পান এ বিশ্বকাপজয়ী।
অন্য গোলটাও ছিল দেখার মতো। মাঝ মাঠ থেকে একাই টেনে নিয়ে গোল করেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ খ্যাত ম্যারাডোনা।
৮ বছর বয়সে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে যোগ দেন। বয়স যখন ১২ স্থানীয়দের কাছে বেশ নাম ডাক পেয়ে যান তিনি। ১৯৭৭ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পান। দেশের জার্সিতে চারটি বিশ্বকাপ আসরে অংশ নেন।
বোকা জুনিয়র্স, বার্সালোনা, সেভিয়া ও নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির হয়ে স্মরণীয় মৌসুম উপহার দেন এ আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার। নাপোলির হয়ে দুবার সিরি ‘আ’ ও উয়েফা জেতান।
১৯৯৭ সালে বোকা জুনিয়র্সে এসে শেষ হয় দীর্ঘ ক্যারিয়ার। মাদক সেবনসহ নানান কারণে শিরোনাম হয়েছেন তিনি। ফুটবল শৈলী দেখিয়ে বিশ্বের নানান প্রান্তে পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। ভক্তদের হাসিয়েছেন-ভাসিয়েছেন কান্নায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।