আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে, ড. ইউনূস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির পাশাপাশি শ্রম ইস্যু ও অভিবাসন সমস্যা নিয়ে তার অভিপ্রায় তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস থেরেসা মে'কে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে শ্রম সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, "আমরা সকল শ্রম সমস্যা সমাধানে কাজ করছি এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।" এ সময়, ড. ইউনূস সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সময় তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরালগুলোর একটি বই উপহার দেন, যা তাদের সংগ্রাম ও সৃজনশীলতাকে তুলে ধরে।
থেরেসা মে বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি এবং অভিবাসন নীতির উপর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে মানব পাচার ও অভিবাসন বিষয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষভাবে, ড. ইউনূস বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে বৈধ অভিবাসন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, "এটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর পাশাপাশি মানব পাচারের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।"
বৈঠকে ড. ইউনূসের সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ, এবং রাষ্ট্রদূত এম আনামুল হক। এর আগে, ড. ইউনূস আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে আরও সহযোগিতামূলক উদ্যোগের সম্ভাবনা ও অভিবাসন নীতি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন থেরেসা মে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।