এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৬ই মার্চ ২০২৫ ০৩:২১ অপরাহ্ন
এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে আন্দোলন

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। তারা আজ (৬ মার্চ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের দপ্তরের সামনে জমায়েত হয়েছেন এবং তাদের দাবির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানান, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। তারা আরও বলেন, "যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে প্রথমে অর্ধবেলা কর্মবিরতি, এরপর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি এবং অবশেষে সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেব।"


এদিকে, জানা গেছে যে, জন্মনিবন্ধন, এনআইডি এবং পাসপোর্ট সেবা নিয়ে দুর্ভোগ কমানোর জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 'সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন), ২০২৫' নামে একটি অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ চলছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এই বিষয়ে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।


এছাড়া, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এক চিঠিতে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার যে আইন করা হয়েছিল, তা বাতিল করা উচিত। নির্বাচন কমিশনের দাবি, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকার প্রয়োজনীয়তা তাদের কাজে গতি আনবে। এই প্রস্তাব যদি অনুমোদিত হয়, তবে সরকারকে অধ্যাদেশ জারি করে পুরনো আইন পুনরায় বহাল রাখতে হবে।


এদিকে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও একটি সুপারিশ করেছে, যেখানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংস্থা নামে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে, সিইসি এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, নতুন কর্তৃপক্ষের অধীনে কাজ দিলে তার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হবে না।


বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জন্মনিবন্ধন, এনআইডি এবং পাসপোর্ট প্রক্রিয়া একসঙ্গে পরিচালিত হলে কার্যক্রমে সচ্ছলতা আসবে এবং সাধারণ জনগণের জন্য সুবিধা হবে। তাদের মতে, একটি স্বাধীন এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠন করলে এইসব সেবা সহজ, দ্রুত ও কার্যকরী হবে।