ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিচার শুরু হবে কি না জানা যাবে ১৮ মে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে পরীমনির উপস্থিতিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এ শেষ হয় অভিযোগ গঠনের শুনানি।
আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চান চিত্রনায়িকা। আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ জামিনে থাকা তিন আসামি। এর আগে ৩ মার্চ এ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন চার্জ গঠনের জন্য ১৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এ সময় আদালতে বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন পরীমনি। তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে আদালতকে বলেন, ঢাকার বোট ক্লাবে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের অনেক পাওয়ার (ক্ষমতা)। সেখানে কাউকে রেপ (ধর্ষণ) করার জন্য তাদের কোনো রুমের প্রয়োজন হয় না। তারা ফোন করলে সেখানে লাইট বন্ধ হয়ে যায়। তারা সেখানে খেলার মাঠের মতো যে কোনো মেয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমাকে রাত ১২টায় তারা ফোর্স করে বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান। আমি সেখানে শর্টপ্যান্ট পরে যাই। শর্টপ্যান্ট পরে সেখানে ঢোকার নিয়ম নেই। তাদের ক্ষমতার জোরে আমাকে সেখানে প্রবেশ করান।
প্রায় ঘণ্টাখানেক শুনানি চলায় আইনজীবীরা তাকে থামতে বলেন। এ সময় পরীমনি বলেন, আমি এখানে কথা বলতে না পারলে কোথায় বলব?
এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করান। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।
এজাহারে আরও বলা হয়, তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে এবং বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন।
আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল ঢুকিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।