ইমরান খানের পদচ্যুতির পেছনে সৌদি আরবের হাত, দাবি বুশরা বিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২২শে নভেম্বর ২০২৪ ০৪:৫১ অপরাহ্ন
ইমরান খানের পদচ্যুতির পেছনে সৌদি আরবের হাত, দাবি বুশরা বিবির

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ২০২২ সালে তার স্বামীকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। তিনি বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের চাপেই ইমরান খানের সরকার পতন ঘটেছিল। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় বুশরা বিবি বলেন, তখনকার সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে সৌদি আরবের কর্মকর্তারা ফোন করে ইমরান খানের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার নেতৃত্বকে সমর্থন না করার আহ্বান জানান।


বুশরা বিবি আরও দাবি করেন, "সৌদি কর্মকর্তারা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান এবং ইমরান খানকে ইহুদির এজেন্ট বলে অভিহিত করেন।" তার মতে, সৌদি আরবের এই হস্তক্ষেপের ফলে ইমরান খানের সরকার পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করে।


এই ভিডিও বার্তায় বুশরা বিবি, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সমর্থকদের ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "এই তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। ইমরান খান নিজেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তাই কোনো অবস্থাতেই তারিখ পরিবর্তন হবে না।" বুশরা আরো বলেন, পিটিআই’র প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ এবং আইনগতভাবে অনুষ্ঠিত হবে, এবং কোনো ধরনের বাধা দেওয়া যাবে না।


এদিকে, পাকিস্তান সরকার ইতিমধ্যে এই বিক্ষোভ ঠেকানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাজধানী ইসলামাবাদে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ করার জন্য কনটেইনার ও কাঁটাতার স্থাপন করার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের দমন করার জন্য বেশ কয়েকটি শহরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে পিটিআই নেতাকর্মীদের রাজধানীতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে, পিটিআই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে ৩০ জনের বেশি কর্মীকে আটক করা হয়েছে।


পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, “বিক্ষোভকারীরা যাতে অস্ত্র নিয়ে আসতে না পারে, সে জন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে, জলকামান বা রাবার বুলেট ব্যবহারের ঝুঁকি এড়ানো হবে।”


এভাবে, পাকিস্তানে আগামী ২৪ নভেম্বরের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে, এবং সরকার-বিরোধী পক্ষের মধ্যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে।