প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে প্রবেশ করে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন মিশা সওদাগর। পর পর দুই ছবিতে তাকে নায়ক বানিয়ে আক্ষেপ করতে হয়েছিল প্রযোজকদের। কিন্তু মিশা দমে যাননি। নিজের প্রতি প্রবল আত্মবিশ্বাসী এই অভিনেতা চরিত্র পরিবর্তন করে খল অভিনেতা হিসেবে পেয়েছেন সফলতা। দেশের চলচ্চিত্রের নানা উত্থান-পতনের মধ্যেও নিজের জায়গা তিনি করেছেন অপরিহার্য। যার ফলাফল গত ৩২ বছরের ক্যারিয়ারে তার ঝুলিতে জমা হয়েছে নয়শতাধিক ছবির নাম। মিশার দাবি, একভাষায় এতগুলো ছবিতে অভিনয়ে রেকর্ড আর কারো নেই। প্রশ্ন ছিল কিভাবে সম্ভব হলো, এতো ছবিতে অভিনয় আর দীর্ঘ সময় টিকে থাকা। মিশার জবাব খুব সহজ সরল, ‘আমি অভিনয়কে ভালোবেসে অনুশীলন করে গেছি। শুরু থেকেই মনে হয়েছে, নিজেকে শক্ত একটা জায়গায় নিয়ে দাঁড় করাতে হবে।’ তিনি বলেন, যখন আমি খল অভিনেতা হিসেবে যাত্রা শুরু করি তখন বাংলদেশের চলচ্চিত্র চারটি পিলারের উপর দাড়িয়ে ছিল। এ টি এম শামসুজ্জামান, ওয়াসীমুল বারী রাজীব, হুমায়ূন ফরিদী এবং আহম্মদ শরীফ। তাদের সমানে আমিতো কিছুই না। তখন টিকে থাকার জন্য পরিশ্রমের বিকল্পও ছিল না। আমি সেটা করে গেছি। যে কারণে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে পেড়েছি।’
তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন, এতো ছবিতে অভিনয় করার কারণে সব সময় অভিনয়ের মান ঠিক রাখা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, কোয়ান্টিটি ও কোয়ালিটি এক সাথে রান করতে পারে না। যদি আমি সেটা করতে যেতাম তবে এতগুলো ছবিতে অভিনয় করা হতো না।’তাহলে এতো ছবিতে অভিনয় করেছেন কেন ‘এ প্রশ্নের উত্তর আমাকে প্রায়ই দিতে হয়। আসলে সময়ের বাস্তবতা মেনে নিয়ে অনেক কিছুই করতে হয়। অনেক প্রযোজক কম বাজেট নিয়ে ছবি শুরু করে দিয়েছেন; তাদের মনে হয়েছে আমি অভিনয় করলে ছবি ভালো চলবে, আমিও বাস্তবতা মেনে সেগুলোতে অভিনয় করেছি। তাদের মন রক্ষা করেছি। কিন্তু ওইসব কাজ আমাকে প্রশ্নের কলেবর থেকে বের হতে দেয়নি। মিশা ১৯৮৬ সালে এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ১৯৯০ সালে ছট্কু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এর কিছুদিন পর ‘অমরসঙ্গী’ ছবিতেও নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। দুটি ছবিই ফ্লপ তকমা পেলে তিনি ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেন। এরপর তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘আশা ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে খলরিত্রে অভিনয় করে সফলতার পথে যাত্রা শুরু করেন। ৪ জানুয়ারি ছিল তার জন্মদিন। এদিনটি তিনি কাটিয়েছেন পরিবারের সাথে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।