অভিনেত্রী অহনা রহমানের গাড়িতে ধাক্কা এবং পরে তাকে আহত করার মামলায় গ্রেপ্তার ট্রাকচালক মোহাম্মদ সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই হুমায়ুন কবীর রোববার আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি। পরে মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যাচেষ্টা ও বেপোরোয়া গাড়ি চালনার অভিযোগের এ মামলায় শনিবারে ভোরে আশুলিয়া থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় তার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। মামলার অপর আসামি সুমনের সহকারী মো. রোহানকে শুক্রবার আশুলিয়া থেকেই গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। তিনিও শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বুধবার ভোর রাতে রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় আহত হন অহনা। এ ঘটনায় তার খালাত বোন লিজা ইয়াসমীন বাদী হয়ে উত্তরা থানায় মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, রাতে পুরান ঢাকায় শুটিং শেষে অহনা ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে উত্তরার বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তিনি (লিজা) অহনার সঙ্গে ছিলেন। পুরান ঢাকা থেকে রাত সোয়া ৩টার দিকে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে লেকড্রাইভ রোডে এলে পাথরবোঝাই একটি ট্রাক তাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। তখন গাড়ি থেকে বেরিয়ে অহনা ট্রাকচালককে নামতে বললে উল্টো তাকেই দোষারোপ করেন চালক। এরপর চালক ইচ্ছে করে তাদের গাড়ির পেছনে আবার জোরে ধাক্কা দেন। এতে গাড়ির ক্ষতি হয়। তখন অহনা ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকচালকের পাশের দরজায় উঠে যান। চালক অহনাকে নিয়েই ট্রাক চালানো শুরু করে দেন। ট্রাকের দরজার জানালা ধরে ঝুলতে থাকেন অহনা। আর তিনি ট্রাকের পেছন পেছন দৌড়াতে থাকেন। ট্রাকটি ১২ নম্বর সেক্টরে জোরে বাঁক নেওয়ার সময় উল্টে পড়ে যায়। অহনা ছিটকে পড়েন রাস্তার ওপর। পরে ট্রাক ফেলেই চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। অহনা বর্তমানে উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।