সত্তরের দশকের রোমান্টিক সিনেমার মধ্যে ‘সুজন সখী’ অন্যতম। খান আতাউর রহমান পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৭৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। সিনেমাটি মুক্তির পর ‘সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। গানটির সঙ্গে সঙ্গে সিনেমাটিও বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে গেঁথে যায়। দর্শকপ্রিয়তা পায় ফারুক-কবরী জুটি।
সুজন-সখী ছাড়াও এই আইকনিক জুটি অভিনয় করেন ‘সারেং বউ’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘ত্রিরত্ন’, ‘শহর থেকে দূরেসহ অনেক সিনেমায়। রুপালি পর্দার এই দুই তারকার সবশেষ দেখা হয়েছে ২০২০ সালে সারাহ বেগম কবরী পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের সময়। কিন্তু এরপর এই জুটির আর দেখা হয়নি। সুজন-সখীর ফারুক ২০২১ সালের ২১ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, অন্যদিকে গত বছর ১৭ এপ্রিল প্রথম প্রহরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরি। আজ এই অভিনেত্রীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দেখতে দেখতে কবরীবিহীন একটি বছর চলে গেল।
দেখতে দেখতে এক বছর পার হলেও ঢাকাই সিনেমার নন্দিত এই নায়িকার মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে কোনো আয়োজন নেই। ঢিলেঢালা অন্যদিনের মতোই চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর বিএফডিসি। শিল্পী সমিতিতেও নেই কোনো আয়োজন। অন্যদিকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে নায়ক ফারুক। কখনো তার শরীরের অবস্থা ভালো আবার কখনো খারাপ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন তিনি।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন সারাহ বেগম কবরী। ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘অবাক পৃথিবী তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা। ২০০৬ সালে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ মুক্তি পায়।
১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় নায়ক ফারুকের। তিনি লাঠিয়াল, সুজন-সখী, নয়নমনি, সারেং বৌ, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে, মিয়া ভাইসহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৬ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।