ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলায় আমাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। গ্রেফতারের জন্যই তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ঢামেক হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তিনি হুইল চেয়ারে বসে সেদিনকার আহতদের ও ছাত্রলীগের নিপীড়নের বর্ণনা দেন। নুর বলেন, ‘আমি এখনও ঝাপসা দেখি। যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’ তিনি বলেন, আমি এখনও সুস্থ নই। হাসপাতালে ভর্তির তিন দিন পর থেকে আমি বেশি অসুস্থ বোধ করছি। তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে নুর জানান, প্রথম তিন দিনের পর শরীর আরও খারাপ হয় আমার। মেরে ফেলার যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র হতে পারে। এসব সরকারের ইশারাতেই হয়েছে বলে মনে করি।
‘কারণ, আমরা সরকারের বিশ্বাসভাজন ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদ করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটতে দেখেছে।’ নুর বলেন, আইসিটি আইনে মামলা করেছে, যাতে আমাকে কারাগারে রাখতে পারে। দুই মাসের আগে এই আইনে জামিন হয় না। ডাকসুর মেয়াদ আছে তিন মাস। আমাকে কারাগারে রাখার পরিকল্পনা। আমি মনে করি, আমাকে গ্রেফতার করার জন্যই হয়তো তড়িঘড়ি করে রিলিজ দেয়া হয়েছে।
দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নিজের পরিবারের জন্য কথা বলি না। সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য কথা বলি। আমাদের এই বিপদের দিনে, ছাত্রলীগের নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষ যদি পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসবে না।
গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের মূল গেট বন্ধ করে হামলা করে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ভিপির কক্ষের লাইট বন্ধ করে বাঁশ ও রড দিয়ে নুর ও তার সহযোগীদের বেধড়ক পেটায়। ডাকসু ভবনের ছাদ থেকেও একজনকে ফেলে দেয়া হয়। ওইদিনের হামলায় ভিপি নুরসহ অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।