বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে বেঈমানী করেনি। তারা দেশকে ভালোবাসতেন। তাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।
গতকাল রোববার বিকেলে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রকাশিত স্মরণিকার প্রকাশনা উৎসবে প্রধান বক্তা বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহিন আক্তার রেনী।
অনুষ্ঠানে রেনী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা, এ স্তম্ভগুলোই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর সহচর ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। এসময় জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার শৈশব ও পারিবারিক জীবনের নানা দিক আলোচনা করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়রের পত্নী রেনী।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার পুত্রবধূ রেনী আরো বলেন, যারা দেশের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন, দেশের উন্নতি নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তাদেরকে সে সময় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর নানা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। দেশ দিনের পর দিন উন্নতির দিকে এগুতে থাকলো। শেখ হাসিনা দেশের উন্নতির লক্ষ্যে নারী এবং যুবসমাজকে নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি দারিদ্র বিমোচন, তরুণ উদ্যোগতা তৈরি, নারীর ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এত কিছুর পরেও কোন এক গোষ্ঠী এ ধরণের উন্নতিতে ঈর্ষাণিত হচ্ছে। এরা আগেও ছিল এখনও রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু উন্নতি থেমে থাকবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাজশাহী নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল খালেক বলেন, জাতীয় চার নেতা ছিল অত্যন্ত মেধাবী ও আদর্শবান। তাদেরকে পাকিস্তানী দোষররা নিমর্মভাবে হত্যা করেছে। দোষররা ভেবেছিল শেখ মুজিবকে পাকিস্তানে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হলে বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলন থেমে যাবে। কিন্তু জাতীয় চার নেতার নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাবি শাখা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অধ্যাপক পি.এম. সফিকুল ইসলাম। জোটের সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম শিবলী শিহাবের সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এসময় সাবেক রাবি উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল্লাহ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।