প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১:২৯
রাজনীতির উত্তপ্ত আবহে এবার সরাসরি অবস্থান কর্মসূচি শুরু করলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকার অভিজাত এলাকা যমুনার সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, তারা গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সুস্পষ্ট রোডম্যাপ এবং দলটির শীর্ষ নেতাদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে রাত থেকেই মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন এনসিপি নেতাকর্মীরা। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল আকারে একত্রিত হন সেখানে। এতে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রমনা বিভাগসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব, সেনাবাহিনী ও এপিবিন সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।
এনসিপি মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে তারা কারও সঙ্গে নেই। তার ভাষায়, “যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই।”
এদিকে এনসিপির এ কর্মসূচির কারণে রাজধানীর কিছু এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। জনমনে একধরনের উদ্বেগও তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যারা যমুনা সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বসবাস করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে নতুন মাত্রার আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, এনসিপির এই অবস্থান কর্মসূচিকে তারই একটি ধারাবাহিক রূপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ক্ষমতা হস্তান্তর, রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং বিচার দাবি—এই তিনটি দাবিকে সামনে রেখেই চলমান আন্দোলন তীব্র রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।