মুজিবনগর দিবসকে (১৭ এপ্রিল) জাতীয়ভাবে ঘোষণা করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মসূচি পালন করেছে মেহেরপুর ছাত্র উন্নয়ন সংঘ (মেসডা)। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ দাবিতে গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে মেহেরপুর ছাত্র উন্নয়ন সংঘ। এ সময় বক্তরা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে মুজিবনগর সরকারের অবদান অনস্বীকার্য। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বেই এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। অথচ এই দিবসটিই জাতীয়ভাবে পালন করা হয় না! এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।
বক্তারা আরো বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ মেহেরপুর তথা মুজিবনগরের কাছে ঋণী। কারণ মুক্তিযুদ্ধে সফল নেতৃত্বের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছিলো এই মুজিবনগর। তাই দেশবাসীর উচিৎ এই দিসবটিতে সফলভাবে পালন করা। এসময় বক্তরা এই দিবসটিকে জাতীয়ভাবে পালনের ঘোষাণার জোর দাবি জানান। মেসডার সভাপতি মো. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য হাসিবের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বক্তব্য দেন গিয়াস উদ্দীন, আবু জাফর, তমাল হোসেন, নাজমুল হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন থেকে মুজিবনগর দিবসকে জাতীয়ভাবে পালনের দাবিসহ, মেহেরপুরে উন্নতমানের চিকিৎসাসুবিধা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে মিলিত হয়। কর্মসমূচিতে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হন। ওই সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।