বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির শিল্পী: হারুন-অর-রশিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ১৭ই এপ্রিল ২০১৯ ০৬:১৩ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির শিল্পী: হারুন-অর-রশিদ

‘বঙ্গবন্ধুকে অনেকে রাজনীতির কবি বলেন, কিন্তু আমার মনে হয় তিনি রাজনীতির শিল্পী। তিনি যেভাবে একটি দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেটা কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা করেননি। ১৯৬৬ সালে যখন আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলো তখন সে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত ছিলো আমার সোনার বাংলা। যেটা বর্তমানে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। এরকম আরো অসংখ্য বিষয় আছে যা থেকে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। বুধবার বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে একটি আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার কোনো অবৈধ সরকার নয়। সত্তর সালের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই এ সরকার গঠন করে। ফলে দেশের জনগন তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিল। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল বলেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিচালিত হয়েছে। যার ফলে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। বিশেষ আলোচক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবাহান বলেন, বঙ্গবন্ধু কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ছিলেন না। তাই যদি হতো তাহলে দেশকে স্বাধীন করতে পারতেন না। সারা বিশ্বের যে সমর্থন তিনি পেয়েছেন সেটাও তিনি পেতেন না। তিনি আরও বলেন, মুজিবনগর সরকার হলো আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে বড় নিয়ামক। এই সরকার গঠন না হলে আমি, আপনি, আমরা যে জায়গায় বসে আছি সেই জায়গায় বসে থাকার সুযোগ পেতাম না।

প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ। এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বেলা ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবন থেকে একটি শোভাযাত্র বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব