প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল আগামী ২৯ জুলাই ঘোষণা করা হবে। যদিও ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনও জানানো হয়নি, তবে সম্ভাবনা রয়েছে নির্বাচন সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভার পর এ ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, বাস রুটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এই আলোচনায় অংশ নেন। তারা ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতকরণ এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন এই সংগঠনগুলোর মতামত গ্রহণ করে ভোট কার্যক্রমকে আরো স্বচ্ছ ও প্রক্রিয়াগত করার পরিকল্পনা করছে।
সভায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় ছাত্রদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং নির্বাচনের সময়কার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়। এছাড়া ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ও নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। উপস্থিতরা একমত হন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে তারা নির্দ্বিধায় ও অবাধে ভোট দিতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভোটের পূর্ণাঙ্গ সূচি ও তফসিল প্রকাশিত হবে। তফসিল প্রকাশের পর থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হবে এবং প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করবেন। কমিশন নির্বাচনের নিরাপত্তা, নিষ্পত্তিমূলক পরিবেশ এবং ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
গত কয়েক বছর ধরেই ডাকসু নির্বাচন বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সহিংসতা বয়ে আনে। এবার নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠনগুলো একযোগে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষক ও প্রশাসনও নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
ডাকসু নির্বাচনের গুরুত্ব দেশের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি রাজনীতির জন্যও অনেক বেশি। দেশের ছাত্র রাজনীতিতে এই নির্বাচনের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই এবার ভোট সুষ্ঠু ও অবাধভাবে অনুষ্ঠিত হলে এটি ছাত্র সমাজের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হবে।
সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পারবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।